আ হ জুবেদঃ কুয়েত থেকে ছুটিতে গিয়ে দেশে আটকে পড়া অনেক প্রবাসীরা এরই মধ্যে হারিয়েছেন আকামার মেয়াদ, আর যেসব প্রবাসীদের আকামার মেয়াদ রয়েছে তারা কর্মস্থলে ফিরতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান কুয়েত প্রবাসীদের কর্মস্থলে ফিরতে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
কুয়েত প্রবাসীদেরকে তাদের কর্মস্থলে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ দূতাবাস। ফলে একটি অনলাইন নিবন্ধনের মাধ্যমে কুয়েত দূতাবাস নিশ্চিত হয় যে, দেশে আটকে পড়া কুয়েত প্রবাসীদের সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার।
যদিও স্থানীয় নিয়ম মেনে এরই মধ্যে গৃহকর্মী ভিসার প্রবাসীরা কুয়েত আসতে পেরেছেন। তবে ১৮ নম্বর ভিসার প্রবাসীরা কুয়েত আসতে পারছেন না।
কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত বলেন, স্থানীয় বিধি নিষেধ এর জন্য প্রবাসীরা আসতে পারছেন না। এটি সব দেশের প্রবাসীদের জন্য প্রযোজ্য।
এবিষয় নিয়ে স্থানীয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দেন রাষ্ট্রদূত।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে অনুরোধ জানান যাতে দেশে আটকে পড়া প্রবাসীদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হয় এবং হোম কোয়ারেন্টাইন এর অনুমতি দেওয়া হয়।
এছাড়াও এন আই ডি কিংবা পাসপোর্ট তার যেকোনো একটা থাকলেই যেনো প্রবাসীরা টিকার জন্য নিবন্ধন এর সুযোগ পান। এবিষয়ে রাষ্ট্রদূত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানান।
কুয়েত দূতাবাসের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে ছুটিতে গিয়ে প্রায় চৌদ্দ হাজার প্রবাসীরা আটকা পড়েছেন।
এরই মধ্যে অনেকের আকামার মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাওয়াতে কুয়েতে ফেরা তাদের সম্পূর্ণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বাকি যাদের আকামার মেয়াদ রয়েছে তাদের কুয়েতে ফিরতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ সরকাররের প্রতি আবেদন জানান দেশে আটকে পড়া প্রবাসীরা।